Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সাম্প্রতিক কর্মকান্ড

সাম্প্রতিক কর্মকান্ড

১. মাছের  উৎপাদন বৃদ্ধি এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন : মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায়  স্বাধীনতার  ৪৬ বছর পর 2016-2017  সালে  বাংলাদেশ  মাছ উৎপাদনে  স্বয়ংসম্পূর্ণতা  অর্জনে  সক্ষম  হয়েছে।  বিগত দশকে  এ খাতে  প্রত্যক্ষ  ও পরোক্ষভাবে   গড়ে  বার্ষিক অতিরিক্ত  ৬ লক্ষাধিক  গ্রামীণ  জনগোষ্ঠীর  কর্মসংস্থানের  সুযোগ  সৃষ্টি হয়েছে।

সরকারের  মৎস্যবান্ধব  কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং  চাষি ও উদ্যোক্তা পর্যায়ে চাহিদাভিক্তিক  ও লাগসই  কারিগরি  পরিসেবা  প্রদানের  ফলে  2018-2019  অর্থ বছরে  মৎস্য উৎপাদন হয়েছে  43.84 লক্ষ  মে.টন : যা 2008-09 সালের মোট  উৎপাদনের (27.01 লক্ষ  মে.টন) চেয়ে  62.31 শতাংশ বেশি ।  উল্লেখ্য  (1983-84 সালে  দেশে মাছের  মোট উৎপাদন  ছিল  7.54 লক্ষ মে.টন। কাজেই ৩৬ বছরের ব্যবধানে  মাছের উৎপাদন  বৃদ্ধি  পেয়েছে প্রায় ছয় গুণ।  বিগত ১২ বছরে  মৎস্যখাতে  উৎপাদন  প্রবৃদ্ধি অর্জন  ৫.০১ শতাংশ।  উৎপাদনের  এ ক্রমধারা   অব্যাহত থাকলে আশা  করা যায়,  আগামী  2020-21  অর্থবছরে  দেশের মৎস্য  উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা  45.52 লক্ষ মে.টন  অর্জিত হবে।

 

২. বদ্ধ জলাশয়ে  মৎস্যচাষ  সম্প্রসারণ  ও আধুনিকীকরণঃ  মৎস্য অধিদপ্তরের  প্রশিক্ষিত  ও দক্ষ  সম্প্রসারণ  কর্মীর  মাধ্যমে  মাছ চাষের আধুনিক  প্রযুক্তি  হস্তান্তরের  লক্ষ্যে  চাষি প্রশিক্ষণ , উন্নত  প্রযুক্তি  হস্তান্তর , লাগসই  সম্প্রসারণ সেবা প্রদান , প্রদর্শনী খামার পরিচালনা  ইত্যাদি  কার্যক্রম  বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।  ফলে দেশের  বিভিন্ন অঞ্চলে  ইতোমধ্যেই   রুইজাতীয়  মাছ  উৎপাদন  বৃদ্ধির পাশাপাশি  পাংগাস , কৈ ,শি, মাগুর ও তেলাপিয়া  মাছের  উৎপাদনের

ক্ষেত্রে  এক নীরব  বিপ্লব  সাধিত  হয়েছে।  2018-2019 সালে দেশের  3.98 লক্ষ হেক্টর  পুকুর – দীঘিতে  হেক্টর প্রতি  বার্ষিক  গড় মৎস্য উৎপাদন  ৪.৯৬৪ মে.টন।  উৎপাদনের  এ ক্রমধারা  অব্যাহত  থাকলে  2020-2021 সালের মধ্যে  হেক্টর  প্রতি উৎপাদন  ৫.০০  মে .টন  ছাড়িয়ে  যাবে  বলে  আশা  করা যায়।

 

 

 

 

3.পরিবেশ বান্ধব চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ:চিংড়ি বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান  রপ্তানি  পণ্য। আন্তজার্তিক বাজারে

চিংড়ির  চাহিদা  বৃদ্ধির সাথে  সাথে  এ দেশের  উপকূলীয়  অঞ্চলে চিংড়ি  চাষ এলাকা  সম্প্রসারিত হচ্ছে।  ফলে কয়েক

বছরের ব্যবধানে চিংড়ি খামারের  আয়তন  ২৫৮  হাজার হেক্টরে  উন্নীত  হয়েছে।

 

৪. জাটকা  সংরক্ষণ  ও ইলিশ  সম্পদ উন্নয়ন:  ইলিশ আমাদের  জাতীয  মাছ  এবং  নবায়নযোগ্য  প্রাকৃতিক সম্পদ ।

ইলিশ  উৎপাদনে  বিশ্বে  বাংলাদেশ  রোল মডেল। বিশ্বে ইলিশ  উৎপাদনকারী  ১১ টি  দেশের  মধ্যে  বাংলাদেশ  শীর্ষে।

বাংলাদেশের  মোট উৎপাদিত  মাছের  ১২.১৫ শতাংশ  আসে  শুধু ইলিশ থেকে  দেশের জিডিপিতে  ইলিশের অবদান এক শতাংশের অধিক ।  একক প্রজাতি  হিসেবে  ইলিশের  অবদান  সবোর্চ্চ ।  বাংলাদে ইলিশ  শীর্ষক  ভৌগোলিক নিবন্ধন  সনদ  (জিআই  সনদ)  প্রাপ্তিতে  নিজস্ব  পরিচয়  নিয়ে  বিশ্ববাজারে  বাংলাদেশের ইলিশ সমাদৃত ।  পৃথিবীর  প্রায় দুই –তৃতীয়াংশের  অধিক ইলিশ  উৎপাদনকারী  বাংলাদেশ  এখন থেকে  বিশ্বে  উপস্থাপিত  হবে ইলিশের  দেশ হিসেবে।

৫. বিল নার্সারি স্থাপন  ও পোনা মাছ  অবমুক্ত   কাযক্রম:  মুক্ত জলাশয়ে  আহরণযোগ্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি  করা এবং  জলাশয়  পার্শ্ববর্তী দরিদ্র  জনগোষ্ঠী, মৎস্যচাষি  ও  মৎস্যজীবিদের  আর্থসামাজিক  অবস্থার  উন্নয়নের লক্ষ্যে  নির্বাচিত  জলাশয়ে  বিল নাসার্রি  স্থাপন  করা হচ্ছে।  এরই  ধারাবাহিকতায়  রাজস্ব খাতের আওতায় 2019-20 অর্থবছরে  ৩৪৪টি  উপজেলায়  ১২০.০০ লক্ষ  টাকা ব্যয়ে  ৩৮৮টি  বিল নাসার্রি  স্থাপন  এবং উন্মুক্ত  জলাশয়ে  মোট  ২৭০. ৮২ মে.টন  (রাজস্ব :  ২১৮.৬৮ মে.টন  ও প্রকল্প :  ৫২.১৪  মে.টন)  পোনামাছ  অবমুক্ত  করা হয়েছে।

 

৬. মৎস্য অভয়াশ্রম  স্থাপন  ও জলজ  জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ:  বিপন্নপ্রায়  মৎস্য প্রজাতির   সংরক্ষণ, প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির  জন্য  অভয়াশ্রয় স্থাপন  একটি অন্যতম  কারিগরি  কৌশল  হিসেবে  ইতোমধ্যেই   সুফলভোগীদের  নিকট  পরিচিত  লাভ করেছে।  বর্তমানে দেশের  বিভিন্ন নদ-নদী  ও অভ্যন্তরীণ   মুক্ত  জলাশয়ে  স্থাপিত  ৪৩২টি অভয়াশ্রম

সুফলভোগীদের  ব্যবস্থাপনায়  পরিচালিত হচ্ছে।

 

৭.  মাছের আবাসস্থল  উন্নয়ন:  প্রাকৃর্তিক ও মনুষ্যসৃষ্ট  কারণে  পুকুর-ডোবা ,খাল-বিল, বরোপিট ,   হাওড় –বাওড়ঁ ও

নদী-নালায়  পলি জমে  ভরাট  হয়ে মাছের  প্রাকৃতিক  প্রজনন ও অবাধ  বিচরণের  অনুপযোগী  হয়ে পড়েছে।  এসব জলাশয়  সংস্কার  ও পুনঃখননের  মাধ্যমে দেশীয় মাছের আবাসস্থল  পুনরুদ্ধারের  পাশাপাশি  জলাশয়ের পরিবেশ ও প্রতিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে  সরকার  ব্যাপক  কার্যক্রম পরিচালনা  করছে।  বিগত  দশ বছরে  মৎস্য  অধিদপ্তরের  আওতাধীন  বিভিন্ন  উন্নয়ন  প্রকল্পের  মাধ্যমে  প্রায়  ৩,৯০৪  হেক্টর  অবক্ষয়িত  জলাশয় পুনঃখনন  করে সংস্কার  ও উন্নয়ন  করা  হয়েছে।